দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ তার নাম অনামিকা শুক্লা। তিনি একাই ২৫টি স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা সেজে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। তা-ও আবার পূর্ণমেয়াদের শিক্ষিকা!
ভারতের উত্তরপ্রদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই সময় জানায়, এভাবে এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত করে বেতন বাবদ আয় করেছেন ১ কোটি রুপি!
কাশগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জলি আগরওয়াল জানান, এক বন্ধুর মারফত শনিবার শিক্ষা দপ্তরে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। ওই বন্ধুকে বসিয়ে রেখে, তাকে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে আসতে বলা হয়। পুলিশকে আগেই খবর দেওয়া হয়েছিল।
গাড়ি থেকে নামামাত্র অনামিকা শুক্লা নামে ওই শিক্ষিকাকে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর স্থানীয় থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ তাকে জেরা করে।
জানা গেছে, অফিসিয়ালি বাগপত জেলার কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের পূর্ণ মেয়াদের শিক্ষিকা অনামিকা শুক্লা। সম্প্রতি রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর শিক্ষিকাদের ডিজিটাল ডাটাবেস তৈরি শুরু করে। তাতেই ধরা পড়ে যায় ওই শিক্ষিকার প্রতারণা। দেখা যায়, একসঙ্গে ২৫টি স্কুলে তিনি চাকরি করছেন।
উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী ডক্টর সতীশ দ্বিবেদী ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার বিষয়টি নজরে আসার পরেই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়।
উত্তরপ্রদেশে সবমিলিয়ে ৭৪৬টি কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। অনামিকা শুক্লার মতো আর কোনো শিক্ষিকা এভাবে সেখানে কাজ করেছেন কি না, তা ভালো করে খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তিনি নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
অনামিকার পক্ষে কী করে এটা সম্ভব হল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পেছনে দপ্তরের কারও হাত রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র: দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস নাউ নিউজ
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন